Business, News, Education, Health, Technology, Software, Sports, Music, Video, Movies, Fun and More

নতুন বছরে আসবে কি মুক্তির বার্তা?



২১ লাখ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর ভোট পাওয়ার জন্য চাকরি থেকে অবসরের সীমা ৬২ করতে চাইছে বর্তমান সরকার। অথচ অঘোষিত প্রায় ৪০/৫০ লাখ বেকারের দাবীকে কোন কর্ণপাতই করছে না। চাকরিতে প্রবেশের সীমা ৩৫ না করে উল্টো অবসরের সীমা বাড়িয়ে ৬২ করতে চাইছে। অর্থাৎ আরও ৩ বছর নিয়োগ আটকে রাখবার প্রয়াস। তাদেরকে আগের নিয়মে ৫৯ বছরে বিদায় দিলে লাখ লাখ পোস্ট খালি হবে। বেকারদের একবার ক্ষতি হল অবসরের সীমা বাড়িয়ে ৫৯ করায়, এবারো ক্ষতি হবে যদি ৫৯ থেকে বাড়িয়ে ৬২ করে। ক্ষমতাসীনরা হয়তো ভুলেই গেছে, ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে কিন্তু যুবকদেরই কাজে লাগে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নাকি গোটা মানবতা জাতির মা। তাহলে এই বেকারদের প্রতি মায়ের এ কেমন অভিমান !!! আজকের এই বেকার ছেলেরাই ২০০৮ সালে বর্তমান সরকারকে উচ্ছ্বাসের সাথে ক্ষমতায় এনেছিল। তাদের জীবনের প্রথম ভোটটি এ সরকারকেই দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তব বিষয় হচ্ছে, এই যুবকেরা এখন আর ঘরে ঘরে চাকরি চায় না। চায় শুধু চাকরিতে আবেদনের সুযোগ।   

২০০০/০১ থেকে ২০০৫/০৬ সাল পর্যন্ত যারা এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে তারাই বোধহয় বেশি ভুক্তভোগী। এরাই এখন বেকারের সংখ্যায় অধিক। এদের সময়ে A+ এর সংখ্যাও ছিল অনেক কম । তাই অনেকে অনেক চাকরিতে এপ্লাই করার সুযোগও পাচ্ছে না। সেশনজটের কবলেও এরা ছিন্নভিন্ন হয়েছে। ৪ বছরের অনার্স প্রায় ৭ বছরে এবং ১ বছরের মাস্টার্স দেড়-দুই বছর লেগেছে। এই ৪/৫ বছরের সেশনজটের জন্য কি এরা দায়ী!  রাষ্ট্রের কি কোন দায় নাই!  এরাতো ভাতেও মরল, কাপড়েও মরল।

পরিশেষে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, দেশে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক জালসনদে চাকুরী করছে, অথচ আসল শিক্ষকরা ১৮/২০ বছর সরকারি কোষাগার থেকে বেতন পাচ্ছেনা ননএমপিও থাকার কারনে। বেসরকারি নিবন্ধনধারী শিক্ষকদেরও নিয়োগ না দিয়ে করছে নানান স্বেচ্ছাচারী টালবাহানা। শিক্ষক সমাজ আন্দোলন বা অনশনে গেলে মন্ত্রণালয় থেকে বলে, বাড়ি গিয়ে ঘুমান


একজন শিক্ষক একমাস প্রাইভেট পড়িয়ে ৫০০ টাকা পায় সেটা বন্ধ করতে চাইছেন। অথচ যে চিকিৎসক চেম্বার খুলে ২ মিনিট একটা রোগী দেখে ভিজিট নেয় ১০০০ টাকা তার বিষয়ে কিছুই নির্দেশনা দিলেন না। যে দেশে শিক্ষকের গুরুত্ব নাই, সে দেশের স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। অতএব, সবকিছু মিলিয়ে বুঝা যাচ্ছে কতটা শিক্ষিত জাতি দেখতে পাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। বাংলাদেশের জনগণ নেতা নয় নীতির পরিবর্তন চায়।   

শিক্ষা ক্যাডারে ব্যাপক পরিবর্তন দরকার

আজ লিখলাম #শিক্ষা #ক্যাডার নিয়েঃ

দ্বিমত থাকলে গঠনমূলক সমালোচনা করবেন।
১। #পদ্ধতিঃ যারা শুধুমাত্র শিক্ষা ক্যাডারে জয়েন করতে চায় তাদেরকে (শিক্ষা ক্যাডারে) আলাদা সার্কুলার দিয়ে নেয়া যেতে পারে। যেভাবে ডাক্তারদের স্পেশাল পরীক্ষার মাধ্যমে নেবে। কারণ বিষয়ভিত্তিক পারদর্শী অনেক মেধাবী আছেন যারা রিটেনে জেনারেলদের সাথে ৯০০ মার্কসে গিয়ে হয়তো কম মার্কস পায় বা ৪৫০ এর কম পায় বা কোন কোন বিষয়ে ৩০% এর কম নম্বর পেয়ে যায়। অথচ নিজের প্রফেশনাল বিষয়ে ভাল মার্কস পেয়েও কাজ হয় না। (এটা শুধুমাত্র যারা শিক্ষাক্যাডারে যেতে ইচ্ছুক তাদের জন্য লেখা)
২। #নিয়ম-নীতিঃ এই প্রক্রিয়ায় আলাদা নিয়োগ দিলে উল্লেখ থাকবে যে, যারা আলাদা করে নেয়া পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে শিক্ষা ক্যাডার হিসেবে সিলেক্টেড হবেন তারা পরবর্তী কোন জেনারেল ক্যাডারে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন না। ৩৯তম স্পেশালদেরও (ডাক্তারদের) তাই করা উচিত। কারণ এমনও হতে পারে যে, ৩৯তম তে ক্যাডার হয়েও পররাষ্ট্র ক্যাডারে যেতে পুনরায় ৪০তমতে অ্যাপ্লাই করল, চাহিদার তারতম্য থাকতেই পারে। তাহলে ৩৯তম স্পেশাল নিয়ে কি লাভ হল !!! তবে যারা ক্যাডার হতে পারবেন না, তারা অবশ্যই যেকোনো পরীক্ষায় অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। (এতে ক্যাডার বৈষম্যও অনেকটা কমে যাবে)
৩। #পরীক্ষার ধরণঃ শিক্ষা ক্যাডারে যেতে অবশ্যই রিটেন দেয়া লাগবে। MCQ দিয়ে হবে না। তবে রিটেনের জন্য কত মার্কস থাকবে তা আলোচনার বিষয়। রিটেনের মধ্যে ১০০ মার্কসের MCQ নেয়া যেতে পারে, যেখানে ইতিহাস, বিজ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপরে MCQ থাকতে পারে। তবে এটাতে কেহ কম মার্কস পেলে আউট হবেন না, মোট মার্কসের সাথে ১০০ তে যত পাবে তত যোগ হতে পারে। অথবা MCQ থেকে প্রাপ্ত মার্কস, মূল মার্কসের পুরাটা যোগ না করে ১০০তে ৫০ এর উপরে যত পাবে শুধুমাত্র তত মার্কস যোগ হতে পারে।)। পরীক্ষা হতে পারে ৫০০ মার্কসের, ৩ দিনে, MCQ সহ। রিটেন পরীক্ষার জন্য সিলেবাস ও মানবণ্ঠন প্রকাশ করা যেতে পারে।
৪। #সিলেকশন প্রক্রিয়াঃ পোস্টের চাহিদা মোতাবেক মার্কসের ভিত্তিতে যৌক্তিক সংখ্যক প্রার্থীকে ভাইভায় ডাকবে। কোঁটা পদ্ধতি সেটা সরকারের চিন্তার বিষয়। তবে কোঁটায় যোগ্য কাউকে না পেলে মেধায় পূর্ণ করতে হবে।
শেষ কথা, এভাবে শিক্ষক নিয়োগে শতভাগ শূন্য আসন পূর্ণ হবে এবং মানসন্মত বিষয়ভিত্তিক মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ পাবে। বর্তমান চলমান প্রক্রিয়ায় কোন কোন বিষয়ে প্রার্থীর আসন শূন্যই থেকে যায়। হয়তো রিটেনে অন্যান্য বিষয়ে খারাপ করে, নয়তো উভয় ক্যাডারে অ্যাপ্লাই করায় জেনারেল ক্যাডারে ডাক পেয়ে যায়। আমি মনে করি, সব শিক্ষকের শিক্ষকতা করতে পররাষ্ট্র নীতি বা আমলাতান্ত্রিক পড়াশুনা লাগে না। নিজের বিষয়ে দক্ষ হলেই হয়। তারপরও বেসিক নলেজের জন্য উপর্যুক্ত ৩ নং এ উল্লেখ করা ১০০ মার্কসের MCQ নিলেই হয়, এতে জেনারেল ক্যাডারের মতই সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত থকেবে। শিক্ষক বদলি বা পদন্নোতি হয়ে আমলা বা অন্যকিছু হবেন না, শিক্ষকই থাকবেন। তাই ব্যাবহারিক বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বিসিএসে নিয়োগ কার্যক্রম পরিবর্তন করা উচিত।
অযৌক্তিক কোন অংশ দৃশ্যমান হলে পরে এডিট করে দিবো। ধন্যবাদ

------------
মোঃ আসাদুজ্জামান (লিংকন)
বিএসসি, এমএসসি (গণিত)
প্রথম বিভাগ।
কেউ কপি করবেন না। (Please Do not copy)

৪ বছর নষ্ট করার জন্য কে দায়ী !

চাকরিতে প্রবেশে বয়সের সীমা ৩৫ করলেন না। তাহলে কি করা উচিত!

১। #সেশন জট পড়লে এর দায়ভার কে নিবে তার উপযুক্ত ধারা/বিধান চাই।
২। #অনার্স-মাস্টার্সের রেজাল্ট এর কোন ভেলু নাই, সেটা ঘোষণা দিন। কারণ আমাকে ফাস্ট ক্লাস পেতে শেষ পর্যন্ত একাডেমিক পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হবে। চাকরির পড়া মাস্টার্স পাসের আগে পড়া সম্ভব না। তাই এরকম সিস্টেম চালু হলে অনার্স ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হয়ে চাকরির পড়া শুরু দিবো। রেজাল্টের কোন বালাই নাই।
৩। #দরকার হয়, সকল ভার্সিটিতে জব সল্যুশন পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। এছাড়াতো চাকরির পড়া সম্ভব না। কি হাস্যকর লাগলো !!! হাহাহা । যাক এটা বাদ। যদিও কিছু ভার্সিটি চাকরি বান্ধব কিছু বই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। উদাহরণ দিলাম না।
৪। #একটা উদাহরণ দিয়ে বলি, যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৬-০৭ তে অনার্স করেছেন তাদের ৩ বছর সেশন জট হয়, ২০১০-১১ তে মাস্টার্সে প্রায় ১ বছর অতিরিক্ত লাগে। মোট ৪ বছর নষ্ট করার জন্য কে দায়ী ? তারাতো ২/৩ বছরের বেশি চাকরির পড়ার সুযোগ পেলেন না। তাদেরকে কি উত্তর দিবেন?
৫। #পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারে আপনাদের দায়ী কতটুকু ক্লিয়ার করবেন। কতগুলো প্রশ্ন ফাঁস হলে পদত্যাগ করবেন এর নিয়ম চাই।
৬। #কোঁটা সুবিধা শিথিল করতে হবে। কয়েকটা ৩য় শ্রেণির সরকারি ভাইভা দিয়েছি। তার অভিজ্ঞায় দেখেছি, কোঁটা ছাড়া নিয়োগ পাওয়া ২/১ জনও পাওয়া যায় না।
৭। #ঘুষ সিস্টেম মনিটরে রাখতে হবে। চাকরির পরীক্ষাগুলোর পরীক্ষা সিস্টেম পরিবর্তন করতে হবে স্বচ্ছতায় আনার জন্য। এমন সিস্টেম থাকবে যাতে, পরীক্ষার রেজাল্টের পরে রিটেনে সিলেক্টেডদের রেজাল্ট/খাতা সবাই দেখতে পারবে। অনলাইনে স্ক্যান সিস্টেম করা যেতে পারে। প্রয়োজনে পরীক্ষার ফি বেশি দিবে। এমনকি এতে করে শিক্ষকদের খাতা দেখার পদ্ধতি ওপেন হবে। এ সংক্রান্ত কিছু নীতিমালা করা যেতে পারে।
৮। #গুরুত্বপূর্ণঃ যে যেই বিষয়ে পড়েছেন তাকে ঐ বিষয়ের চাকুরীতে প্রবেশের জন্য গুরুত্ব দেয়া হোক। আমি গণিতের ছাত্র, আমি দেশের জন্য নাহয় ইতিহাস পড়বো, কিন্তু অন্য বিষয় জোর করে কেন পড়াবেন। আমি যদি গনিতে ১০০ তে ৯০ পাই, আমাকে গণিতের কোন সেক্টরে চাকরি দেন। আমি মানুষকে গণিত শিখাতে পারলে আমাকে সুযোগ দিতে সমস্যা কি ? এভাবে অন্যান্য সাবজেক্টেরও মূল্যায়ন করুন। ডাক্তারকে চিকিৎসা করতে দিন। ডাক্তার পররাষ্ট্র ক্যাডারে যেতে পারে যোগ্যতা দিয়ে, সেই সুযোগ করে দিয়েছেন। সাধারণদের ডাক্তারদের সাথে একটা প্রফেশনাল পরীক্ষা দিতে দিন, দেখবেন সাধারণরাও কেউ কেউ ডাক্তার হয়ে গেছে। ৩৯তম বিসিএস স্পেশালে সাধারণ শিক্ষার্থী ২০০ মার্কসের MCQ তে অংশ নিলে নিশ্চিত কেউ না কেউ ডাক্তারদের চেয়ে বেশি পাবে, ভাইভা দিবে, তার মানে জীবনে ডাক্তারি না পরেও ডাক্তার !!! অসম্ভব কিছু না। তাই বিষয়ের মূল্যায়ন করা দরকার। হাস্যকর লাগে!!!

------------
মোঃ আসাদুজ্জামান (লিংকন)
বিএসসি, এমএসসি (গণিত)
প্রথম বিভাগ।
কেউ কপি করবেন না। (Please Do not copy)

NTRCA এর বিরুদ্ধে দায়ের করা রিটের রায়ে কিছু সম্ভাবনা

কিছু সম্ভাবনাঃ (About: NTRCA)

১। রিটাকারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে রায় আসবে। সেটাই যুক্তিগত, যদিও আমি রিট করি নাই।
২। অন্য সবারও চাকরি হবে। হয়তো রায়ে নির্দেশনা থাকবে, নয়তো রায়ের পরে ননরিটকারীদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়া লাগবে।
৩। ১২তম রা ১-১২ তমদের আওতায় রায় পাবে।
৪। ১৩তমদের তাদের নতুন রিটের জন্য কিছুদিন বিলম্বে চাকরি হতে পারে কিন্তু তাদের সবার চাকরি হবে।
৫। এনটিআরসিএ আরো সময় আবেদনের প্যাঁচ লাগাতে পারে। ফলে এবছরে রায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ। আশাকরি দক্ষ ব্যারিস্টার নিয়োগের সুফলে আমাদের রায়টা এবছরে হবে।
৬। যাদের মার্কস বেশি তারা সেফ জোনে থাকবেন, যদি কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তবে মনে হয় ঘটবে না, সবারই চান্স আছে।

#সাপ্লিমেন্টারি বা সংযোজন বা সংশোধন যাই বলুন, আদালত নিজস্ব যুক্তিতে রায় দিবে। এখনই কারো হতাশ হবার কারণ নেই। পূর্বের অন্যান্য বিষয়ের রিট এর রায় থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, ভরসা খুঁজে পাবেন। সবাই আশা বাচিঁয়ে রাখুন। রিটকারীরা আপনাদের বলছি, আপনাদের কারণে ননরিটকারীরাও আপনাদের সাথে চাকরি পেলে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। অনেকে হয়তো অনেক কারণে রিটে আসেনাই, কিন্তু অনেকেতো আন্দোলনে সাথে ছিল। আরেকটা কথা, রিটকারীরা আগে নিয়োগ পেলে ননরিটকারীদের ঈর্ষা করার কোন কারণ দেখছিনা। সবাই সম্প্রীতি বজায় রেখে চলুন, আর প্রার্থনা করুন। দুনিয়াতে সবাই নেতা নয়, কেউ না কেউ নেতৃত্ব দিয়ে পথ দেখাবেই, তাদের সন্মাণ করুন, উৎসাহ দিন। ভাল থাকুন

------------
মোঃ আসাদুজ্জামান (লিংকন)
বিএসসি, এমএসসি (গণিত)
প্রথম বিভাগ।
কেউ কপি করবেন না। (Please Do not copy)

Inconsistent But Reasonable

অসঙ্গতি কিন্তু যুক্তিযুক্তঃ  (About NTRCA)

#যারা ইতিমধ্যে চাকুরী পেয়েছে তাদেরকেও আবেদনে সুযোগ বা নিয়োগে বাধ্য থাকবে। কারণ, সংবিধানের ৩৪ ধারায় জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধের কথা বলা আছে। ৪০ ধারায় পেশার স্বাধীনতার কথা বলা আছে। অর্থাৎ দুটি ধারা একত্রে করলে হয়, কাউকে জোর করে কোন নির্দিষ্ট পেশায় আটকে রাখা যাবে না, গ্রহণযোগ্য যোগ্যতা প্রমাণ সাপেক্ষে অন্য পেশায় যেতে চাইলে যেতে পারবেন। তবে উল্লেখ আছে, আইন করে কিছু নিয়মাবলী সংযুক্ত করা যেতে পারে।
#আসল কথায় আসি, 
প্রথমত, কোন না কোন নিবন্ধনধারী সরকারি ৩য় শ্রেণির চাকরি করছেন, তারা কলেজের চাকরির সুযোগ পেলে অনেকেই সরকারি চাকরিটা ছেড়ে বেসরকারি হলেও কলেজের চাকরিটা চাইবেন। সেক্ষেত্রে বাঁধা দেয়ার এখতিয়ার আমাদের নাই। নিজেদের মত অনেক ভাবতে পারেন, তবে এটাই সত্যি।
দ্বিতীয়ত, প্রাইভেট ব্যাংকে যারা অফিসার লেভেলে চাকুরী করেন ৯৯% কলেজে জয়েন করতে চাইবেন। বাস্তব একটা উদাহরণ দেই, আমার আপন কাকা কৃষি ব্যাংকের ক্যাশ অফিসারের চাকরি ছেড়ে ভোলা দৌলতখান আবু আবদুল্লাহ কলেজে পদার্থবিজ্ঞানে জয়েন করেন। সবচেয়ে সুখবর হল, কিছুদিন আগে কলেজে জাতীয়করণের গেজেট আসে। তাহলে নিশ্চয়ই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কাজেরও প্রেসার কম, প্রাইভেট পড়ায়, স্থানীয় রাজনীতিও করে, ভালই চলে।
#তাহলে আমাদের কি হবে!!!
চিন্তায় ফেলে দিলাম প্রতিযোগী বেড়ে গেছে? দেখুন, গত অনলাইন আবেদনে যারা আবেদন করেছে তারা কতজন সেটা দেখেন। তারা নিশ্চয়ই চাকরি পাওয়ার আশায় করেছিলেন। সুতরং তাদেরকে নিয়ে আদালত একটা রায় দিলে কিছুতা প্রতিযোগী কমে যাবে। তবে এক্ষেত্রেও বঞ্চিতদের (যারা আবেদন করেননি) অনেক অভিযোগ থাকতে পারে। বিস্তারিত লিখলাম না। তারাও আইনের আশ্রয় নিতে পারেন সংবিধানের ২৭ ধারা মোতাবেক। তবে তারা মামলায় পক্ষে রায় পেলে পরে নিয়োগ পাবেন। তারা নিয়োগ পেতে পেতে আপনারা চাকরি নিয়ে বিয়ে করে সন্তান উৎপাদন করে ফেলবেন। যদিও কেউ কেউ চাকরির আগেই বংশ বিস্তার করে ফেলেছেন। চালিয়ে যান, আইনে তেমন বিধিনিষেধ নাই।
#একাধিক সার্টিফিকেট থাকলে কোথায় নিয়োগ দিবে? স্কুল নাকি কলেজ !
এটা একটা জটিল প্রক্রিয়া। সেক্ষেত্রে মার্কস এর মূল্যায়ন করা লাগতে পারে। এ প্রক্রিয়া আরেকদিন লিখবো। সমস্যা যেখানে, সমাধানও আছে।
------------
মোঃ আসাদুজ্জামান (লিংকন)
বিএসসি, এমএসসি (গণিত)
প্রথম বিভাগ।
কেউ কপি করবেন না। (Please Do not copy)
Thank you for visiting this site